মান্না দে সঙ্গীত একাডেমীর দশম বা্র্ষিক অনুষ্ঠান ‘ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে’ আয়োজিত হয়েছিল ১লা মে ২০১৫ বিদ্যামন্দির অডিটোরিয়ামে। অনুষ্ঠান শুরু হয় ঠিক ৫টা ৫৫য়। শুরুতেই মান্না দে সঙ্গীত একাডেমীর কর্মকাণ্ডের উপর একটি ১৫মিনিটের ভিডিও-ছবি দেখানো হয়। এরপর শোনানো হয় প্রয়াত শিল্পী মান্না দের কন্ঠে রেকর্ড করা মহাবীর স্তোত্র। মঞ্চে আসেন সংযোজক শ্রী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। একাডেমীর দুই প্রয়াত শুভানুধ্যায়ী অধ্যাপক করুণাসিন্ধু দাস ও সুরঞ্জনা ভট্টাচার্যের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দুই বিশেষ অতিথি গ্রামোফোন কোম্পানীর শ্রী এস এফ করিম এবং চিত্রপরিচালিকা ডা: শতরূপা সান্যাল সঙ্গীতরত্ন মান্না দে কে শ্রদ্ধা জানান এবং এই একাডেমীর কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে শুভেচ্ছা জানান। মান্না দে সঙ্গীত একাডেমীর উদ্যোগে গত ২৬শে এপ্রিল রেনেসাঁ স্টুডিওতে আয়োজন করা হয়েছিল মান্না দে সঙ্গীত একাডেমী অ্যাওয়ার্ডের জন্য সঙ্গীত প্রতিযোগিতার। সে প্রতিযোগিতার বিজয়ী দুটি বিভাগে (অনুর্ধ ১৮ এবং ১৮-উর্ধ) ছয়জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরপর তারা একটি করে সঙ্গীত পরিবেশন করে যেগুলি ছিল মান্না দে-র গাওয়া বা সুরারোপ করা। বিরতির পর শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এইপর্বে কিংবদন্তী শিল্পী মান্না দে-র গাওয়া বা সুরারোপ করা গানগুলি পরিবেশন করলেন মুম্বাইবাসী তাঁর শিষ্য শ্রী সূর্য ভট্টাচার্য, এছাড়াও শ্রী পল্লব ঘোষ, শ্রীমতি মহুয়া বোস ও শ্রীমতি রূপা সরকার। সূর্য ভট্টাচার্যর সাবলীল পরিবেশনা শ্রোতাদের মন ভরিয়ে দেয়, চোখের কোণ ভিজিয়ে দেয়। গুরুকে নকল নয়, তাঁকে অনুসরণ করে গুরুর ঘরানা অনুসারে ‘গোরি তোরি পায়জনিয়া’, ‘এ ভাই জরা দেখকে চলো’ ‘বেহাগ যদি না হয় রাজি’, ‘যমুনা কে তট পে’ সহ প্রায় দু ঘন্টার পরিবেশনায় সবাই মুগ্ধ হয়। পল্লব ঘোষের ‘তুঝে সুরজ কহুঁ য়্যা চন্দা’, ‘কসমে ওয়াদে প্যার বফা’, রূপা সরকারের ‘আমি খাতার পাতায়’, ‘শুধু স্বপ্ন নিয়ে’ এবং সূর্য-মহুয়ার যুগলবন্দীতে ‘বেঁধোনা ফুলমালা ডোরে’, ‘মস্তি ভরা এ শমা’ সকলকে আপ্লুত করে। সংযোজনার পাশাপাশি ‘হাজার টাকার ঝাড়বাতিটা’ গানে অংশ নেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। এমন অনুষ্ঠান আবার শোনার ইচ্ছে নিয়ে সকলে ‘ভালোবাসার রাজপ্রাসাদ’ ছেড়ে নিজের ঘরে ফেরেন।
|